Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিটিআরআইতে “বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন, ভোগ ও রপ্তানীঃ বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2023-09-27
চায়ের রাজ্যখ্যাত সবুজ শ্যামলে ঘেরা শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক “বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন, ভোগ ও রপ্তানীঃ বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক দিনব্যপি এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। অদ্য ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের অডিটোরিয়ামে উক্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) জনাব মোঃ কামরুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক; টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জনাব শাহ মঈনুদ্দিন হাসান; বাংলাদেশীয় চা সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জনাব তাহসিন আহমেদ চৌধুরী।
কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিসংখ্যান) ড. শেফালী বুনার্জী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কীটতত্ত্ব) ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দীন, অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; ড. মোঃ শাহ আলমগীর, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, এগ্রিকালচারাল ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; জনাব মোঃ শাহজাহান, সিনিয়র ম্যানেজার, ন্যাশনাল ব্রোকার্স লিমিটেড; জনাব মোঃ আমিরুল হক খোকন, সভাপতি স্মল টি গার্ডেন এন্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ; জনাব মোঃ মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তেঁতুলিয়া টি কোম্পানী লিমিটেড। উক্ত কর্মশালায় বিটিআরআই, পিডিইউ এর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা, চা শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্তরের অংশীজনসহ মোট ৮০ জন অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় ২য় অধিবেশনে ওয়ার্কিং সেশনে অংশগ্রহণকারীগণ ৮টি বিষয়ে অর্থাৎ “চায়ের গড় উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপকরণ ব্যয় কমাতে করণীয়; চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষিতাত্ত্বিক পরিচর্যার যথাযথ প্রয়োগ; চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৃত্তিকা পুনর্বাসন ও সুষম সার প্রয়োগ; টেকসই ও নিরাপদ চা উৎপাদনে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) এর প্রয়োগ; চা শিল্পে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও করনীয়; চা বিপণন ও রপ্তানীতে চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তোরণের উপায়; চায়ের বৈচিত্রায়ন, ভ্যালু এডেড ও স্পেশাল টিঃ উৎপাদন ও বাজার সৃষ্টি এবং চায়ের অভ্যন্তরীণ ভোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ চা বোর্ড ও স্টেকহোল্ডারদের করণীয়” বিষয়ে গ্রুপ ডিসকাশন করেন ও তাঁদের প্রস্তাবনা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি বলেন “বাংলাদেশের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চা বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। “উন্নয়নের পথনকশাঃ বাংলাদেশের চ শিল্প” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চা আবাদী বৃদ্ধি, উত্তরবঙ্গে সমতলের ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ সম্প্রসারণ, ভর্তুকীমূল্যে সার সরবরাহ, টি ট্যাস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কোর্স চালুকরণ, অবৈধ চা ব্যবসারোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, রপ্তানীকারকদের রপ্তানীতে উৎসাহিত করতে ৪% প্রণোদনা প্রদানসহ সরকার নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বিগত কয়েক বছরে চায়ের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ও তেমনি অভ্যন্তরীণ ভোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। চা আমদানীকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।“ এ ধরনের সময়োপযুগি ও ফলপ্রসূ কর্মশালার মাধ্যমে চা শিল্পে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।