চা গবেষণাকে মাঠভিত্তিক ও অধিক কার্যকরী করার লক্ষ্যে ১৯০৪ খ্রীষ্টাব্দে আসামের হীলিকা চা বাগানে একটি ষ্টেশন স্থাপন করা হয় এবং ১৯১১ খ্রীষ্টাব্দে আসামের জোরহাটে Tocklai Experimetal Station এর স্থায়ী কার্যালয় স্থাপিত হয় যার দিগন্ত ও কার্যপরিধি পরিনামে সমস্ত উত্তর - পূর্ব ভারতের চা শিল্পে বিস্তৃত হয়। এখানকার উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগত সুফল আমাদের এ অঞ্চলের (তখনকার) চা শিল্পও ভোগ করত। ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দে ভারত বিভক্তি ও স্বাধীনতার সুবাদে আমাদের চা অঞ্চল, তৎকালে যা সুরমা ভ্যালী চা এবং হালদা ভ্যালী চা অঞ্চল নামে পরিচিত ছিল তা পাকিস্তান চা শিল্প হিসেবে পৃথক সত্ত্বা নিয়ে আবির্ভূত হলো। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল আসামের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক স্বার্থের সরাসরি যোগাযোগ।
বিটিআরআই এর প্রতিষ্ঠা
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও চায়ের বিপননের লক্ষ্যে পাকিস্তান টি অ্যাক্ট/১৯৫০ এর আওতায় পাকিস্তান চা বোর্ড গঠিত হয়। অতঃপর চা শিল্পের বৈজ্ঞানিক সমর্থনের যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করেই চা বোর্ড ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দের এক সিদ্ধান্ত বলে একটি চা গবেষনা ষ্টেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করে এবং একজন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়োগ করে তৎকালীন ঢাকাস্থ কার্যালয়েই প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। অবশেষে ১৯৫৭ খ্রীষ্টাব্দের ২৮ ফেব্র“য়ারী শ্রীমঙ্গলে পাকিস্তান চা গবেষনা ষ্টেশন (পিটিআরএস) নামে স্থায়ী গবেষণা কার্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৭১ এর স্বাধীনোত্তরকালে এ প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে বাংলাদেশ চা গবেষণা ষ্টেশন (বিটিআরএস) নামকরণ থেকে ১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) পূর্নাঙ্গ ইনষ্টিটিউট এ উন্নীত করা হয়।