বিগত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ বুধবার শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই এর প্রকলপ উন্নয়ন ইউনিটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সিটিউট ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্দোগে চা শিল্পের জন্য "আধুনিক চা উৎপাদন প্রযুক্তি" শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালা। এতে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ৮০ টি চা বাগানের ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক মিলিয়ে আনুমানিক ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ এনায়েত উল্লাহ এনডিইউ, পিএসসি । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকলপ উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক জনাব মোঃ হারুণ-অর-রশীদ সরকার ও বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর সিলেট ভ্যালী সার্কেলের চেয়ারম্যান ও ফিনলের ডিজিএম গোলাম মোহাম্মদ শীবলি । কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন ড. মাইনউদ্দীন আহমেদ, পরিচালক, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সিটিউট। কর্মশালায় টেকনিক্যাল সেশনে প্রুনিং, টিপিং, প্লাকিং, পেস্ট কন্ট্রোল ও টি প্রসেসিং এর উপর ৪ টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। সেশনটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের বাগান সেলের মহাব্যবস্থাপক জনাব শাহজাহান আকন্দ। কর্মশালায় চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রুনিং, টিপিং, প্লাকিং এর ভূমিকা শিরোনামে ১ম প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরআই এর ক্রপ প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব এস. এম. আলতাফ হোসেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে প্রুনিং, টিপিং, প্লাকিং এর বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করেন। এরপর টেকসই চা উৎপাদনের জন্য চায়ের পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা শিরোনামে ২য় প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। তিনি বলেন টেকসই চা উৎপাদনের প্রধানতম অন্তরায় হলো পোকামাকড় ও রোগবালাই এবং চায়ের এ সমস্ত পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে তিনি সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। কর্মশালার ৩য় প্রবন্ধটি চা চাষে মাইকোরাইজা ছত্রাকের ভূমিকা শিরোনামে উপস্থাপন করেন পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী। তিনি চায়ের বৃদ্ধি ও উৎপাদনে মাইকোরাইজা ছত্রাকের ভূমিকা তুলে ধরেন। কর্মশালার সর্বশেষ প্রবন্ধটি চা প্রক্রিয়াকরণ ও চায়ের গনগতমান উন্নয়ন টাইটেলে উপস্থাপন করেন টেকনোলজি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব দুলাল চন্দ্র দে। তিনি চা প্রক্রিয়াকরনের বিভিন্ন দিক ও চায়ের গনগতমান উন্নয়নে কি করনীয় এ বিষয়ে তাঁর প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অতঃপর চা বাগানের ব্যবস্থাপকদের প্রশ্নত্তোরের মাধ্যমে কর্মশালা শেষ হয়। বাগানের ব্যবস্থাপকগণ মনে করেন এ ধরনের কর্মশালায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে তাঁদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায় যা পরবর্তীতে মাঠ পর্যায়ে চা উৎপাদনে কাজে লাগে। এতে চা শিল্প উপকৃত হবে বলে তাঁরা মনে করেন।